আবারও ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এ সংঘর্ষে ঢাকা সিটি কলেজের নামফলক ও মূল ফটকের একাধিক অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল ধানমন্ডিতে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন যুবক। ওই যুবকদের মধ্যে একজন ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিল বলে দাবি করেন তারা।
তারা বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে ঢাকা সিটি কলেজের একটি গ্রুপ এই মারধরের সঙ্গে জড়িত। ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই জের ধরে আমরা আজ এখানে এসেছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে সিটি কলেজের সামনে জড়ো হন। তখন সিটি কলেজের শিক্ষকরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় দলগতভাবে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের গেটে ইট-পাটকেল মারতে থাকেন। তবে এই ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় রমনা থানার ডিসি মাসুদ আলম বলেন, গতকাল ঢাকা কলেজের একজন শিক্ষার্থী সাইন্সল্যাবে ড্রেস পরে এসেছিল। আমরা সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছি, সেখানে সিভিল ড্রেসে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে তিনি পড়ে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। তাকে মারধরও করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ ঢাকা কলেজের প্রায় দুই থেকে আড়াইশ শিক্ষার্থী সাইন্সল্যাব মোড়ে সিটি কলেজের সামনে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পরে দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে আবার জানা যায় সিটি কলেজ থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে পড়ে। এদের মধ্যে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলে রয়েছে, যারা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুটি কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ।
এর আগেও, গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহন হন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দরকার। এভাবে আর কত। এটি নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই কলেজকে নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা দরকার। আমরা ঊর্ধ্বতনদের জানাব। আমরা এভাবে আর চাই না। কখন কার প্রাণ ঝরে যায়, বলা যায় না।